ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

‘গণপিটুনি’র ব্যাপারে নিজের মন্তব্য জানালেন উপদেষ্টা নাহিদ

উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

‘মব জাস্টিস’ বা এক কথায় ‘গণপিটুনি’র বিপক্ষে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনকে মারধর করে হত্যার ঘটনায় বিচার নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেছেন কোনো ধরনের মব জাস্টিস গ্রহণযোগ্য নয়।

এক ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

অতীতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনার বিচারের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ এই অভ্যুত্থান ও বিগত বছরগুলোতে যারা ছাত্র-ছাত্রীদের নিপীড়ন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতি দ্রুত মামলা করতে হবে। ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ (তথ্যানুসন্ধান) কমিশন করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশাসনের উদ্যোগে নির্যাতনকারীদের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে বহিরাগতমুক্ত করতে কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক উদ্যোগ নিয়েও বক্তব্য তুলে ধরেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢালাওভাবে ‘বহিরাগত’ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, উচিতও নয়। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন যাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশে বিঘ্ন না ঘটে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক পরিসর যাতে উন্মুক্ত থাকে এবং জনগণের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিথস্ক্রিয়ারও সুযোগ থাকে। ‘বহিরাগত’ জনগণের চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ অতি জরুরি।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে গত বুধবার রাতে তোফাজ্জল হোসেন নামের একজন ব্যক্তিতে মারধর করে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে বুধবার মারধর করা হয়। ওই দিন রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।



Loading...