ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আজমিরের খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির মাজার কর্তৃপক্ষ ৪ হাজার কেজি জর্দা ভক্ত ও দর্শনার্থীদের মধ্যে বিতরণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ এই জর্দা রান্না করা হয়েছিল মাজারের নিজস্ব রান্নাঘরে।
সাধারণ লোকজনের কাছে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর মাজার আজমিরের দরগা শরিফ নামে পরিচিত। ইসলাম ধর্মের প্রচারের উদ্দেশ্যে ১২ শতকের শেষ দিকে ভারতে এসেছিলেন তিনি। তারপর সেখানে আজমিরে স্থায়ী হন। ভারত এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই মাজারে আসেন। এই দর্শনার্থীদের মধ্যে মুসলিমদের পাশাপাশি থাকেন হিন্দু, খৃস্টান, বৌদ্ধ, জৈন-বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা।
যেসব ভক্ত-দর্শনার্থী মাজারে আসেন, তাদের সবাইকে নিরামিষ খাবারের মাধ্যমে আপ্যায়ন করা হয়। শত শত বছর ধরে এই প্রথা চলে আসছে।
দরগা শরিফের সার্বিক দেখভাল ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে চিশতিয়া ফাউন্ডেশন। খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির বংশধররা এ ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে সংস্থাটির চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন হাজি সৈয়দ সালমান চিশতি।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছিল নরেন্দ্র মোদির ৭৪ তম জন্মদিন। ১৯৫০ সালের এই দিনে গুজরাট রাজ্যের ভাদনগর (বর্তমানে গান্ধীনগর) জেলায় জন্মেছিলেন তিনি।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ সদস্য সৈয়দ আফসান চৌধুরি জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সারা দিন দরগা শরিফে আসা ভক্ত ও শরণার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে এই জরদা। সেই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাতও করা হয়েছে।
চিশতিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাজি সৈয়দ সালমান চিশতি জানান, মোদির জন্মদিনের জর্দা রান্না করা হয়েছে বিশেষ একটি হাঁড়িতে। ‘বড় শাহী ডেগ’ নামে পরিচিত এই হাঁড়িটি মুঘল সম্রাট আকবর মাজার কর্তৃপক্ষকে উপহার দিয়েছিলেন।
“বড় শাহী ডেগে শুধু মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার রান্না করা হয় এবং বিশেষ উপলক্ষে এই ডেগ ব্যবহার করা হয়। বছরের বাকি সময় ডেগটি তোলা থাকে,” এনডিটিভিকে বলেন সালমান চিশতি।
সূত্র : এনডিটিভি