বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
৫৫/এ, এইচ এম সিদ্দিক ম্যানশন, লেভেল-৭ পুরানা পল্টন
ঢাকা-১০০০, ফোন: +৮৮০২২২৬৬৪০০৫৬
e-mail: [email protected],
[email protected]
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
৫৫/এ, এইচ এম সিদ্দিক ম্যানশন, লেভেল-৭ পুরানা পল্টন
ঢাকা-১০০০, ফোন: +৮৮০২২২৬৬৪০০৫৬
e-mail: [email protected],
[email protected]
যেমনটা হয় আর কী, অন্য কেউ খারাপ করলেই কেবল ডাক পড়ে সৌম্য সরকারের। এবারও ব্যাতিক্রম হয়নি। নাঈম শেখকে প্রতিষ্ঠিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর ফের সৌম্য সরকারকে ওয়ানডে দলে ডাকলেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। সেই সঙ্গে ব্যাটিং অর্ডার শক্তিশালী করতে একজন পেসার কমিয়ে মিডল অর্ডারে নবাগত ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে এনেছেন তিনি।
আজ বাদে কাল মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরু হতে যাচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাটিংয়ে স্থিতিশীলতা আনতে টপ অর্ডারে বদল আনতেই হলো লিপুকে। সৌম্যর অভিজ্ঞতা আর অঙ্কনের ঘরোয়া পারফরম্যান্স এক্ষেত্রে আস্থা দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। ‘ সৌম্য অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়ার, গেলো বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার ব্যাটিংয়ে যথেষ্ট সফলতা আছে। লিটন দাস না থাকায় অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসাবে সৌম্যকে নিয়ে এসেছি।’ গাজী আশরাফের ব্যাখা পরিস্কার।
এর আগে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একটি ম্যাচে শূন্য করার পর আর কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ আসেনি সৌম্যর সামনে। তার আগের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭৩ রানের ইনিংস ছিল তাঁর। এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি২০ সিরিজে ডাক পেয়েও ভিসা জটিলতার কারণে আমিরাতে যাওয়া হয়নি তাঁর। তবে এবার আর সেই ঝামেলা নেই।
আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকছেন এবার অঙ্কন। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স করে এবারের ওডিআই সিরিজে অভিষেক হওয়ার গ্যারান্টি পাচ্ছেন উইকেটকিপার কাম ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। মিরাজের ‘দেশসেরা উইকেটকিপার’ নুরুল হাসান সোহানকে বাইরে রেখে অঙ্কনকে কিপিং গ্লাভস দেওয়া হবে কিনা তা নিশ্চিত না, তবে এটা অন্তত নিশ্চিত যে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডে এই মুহূর্তে তিনজন উইকেটকিপার রয়েছেন মিরাজের হাতে।
প্রবল সমালোচনা হলেও জাকের আলীর ওপর আস্থা রাখছেন টিম ম্যানেজমেন্ট। আফগানিস্তান সিরিজে মিডল অর্ডারে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হওয়ার পর জাকেরকে লাইফ লাইন দেওয়া হচ্ছে মিরপুরে। আবুধাবি ফেরত শামীম হোসেন পাটোয়ারীকেও এখনই বাদ দেওয়ার সাহস দেখাতে পারেননি লিপু। যদিও স্কোয়াড ঘোষণার আগে এখানে ইয়াসির আলী চৌধুরীর কথা আলোচনায় ছিল। সেখানে এক ম্যাচ খেলা পেসার নাহিদ রানা আর নাঈম শেখকে ছাড়া কাউকেই বদল করা হয়নি।
এখন কৌতূহল থাকছে দলের ওপেনিং জুটি ঘিরে। তানজিদের সঙ্গে সাইফ নাকি সাইফের সঙ্গে সৌম্য– কে করবেন প্রথম ম্যাচের উদ্বোধনী? ২০২৪ সালের মার্চে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে লিটনের সঙ্গে ওপেন করেছিলেন সৌম্য। দুই ম্যাচে ৭১ রান করার পর তৃতীয় ম্যাচে ইনজুরড হয়ে গেলে সুযোগ আসে তানজিদের সামনে। তারপর আফগানিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ওপেনিং জুটি ছিল তানজিদ আর সৌম্যর মধ্যে; যেখানে এই জুটির ছয়টি ম্যাচে সৌম্য করেন ১৮৬ রান, তানজিদ ১৫০। তাই মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাইফকে ওয়ান ডাউনে নামিয়ে পুরোনো সেই ওপেনিং জুটি নামলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
মিডল অর্ডারে জাকের আলীর জায়গায় দলের নবাগত আরেক সদস্য মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ওপরই আস্থা রাখা যেতে পারে। ২০২৪ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিলেন তিনি। এবারের লিগেও মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন। এ ছাড়াও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ‘এ’ দলের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন। জাতীয় দলে তাঁর আসার পথটা ধাপে ধাপে তৈরিই হয়েছিল। লিস্ট-এ ম্যাচে ৩৪২৯ রান করেছেন তিনি ৪৪.৫৩ গড়ে। গত বছর অক্টোবরে চট্টগ্রামে একটি মাত্র টেস্ট খেলেছিলেন তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আর যাই করুন আফগানিস্তান সিরিজ খেলে আসা ব্যাটারদের চেয়ে অন্তত ভালো পারফর্ম করতে পারবেন– এমন একটি বিশ্বাস রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে।