বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
৫৫/এ, এইচ এম সিদ্দিক ম্যানশন, লেভেল-৭ পুরানা পল্টন
ঢাকা-১০০০, ফোন: +৮৮০২২২৬৬৪০০৫৬
e-mail: desherkanthaonline@gmail.com,
dainikdesherkanthaadd@gmail.com
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
৫৫/এ, এইচ এম সিদ্দিক ম্যানশন, লেভেল-৭ পুরানা পল্টন
ঢাকা-১০০০, ফোন: +৮৮০২২২৬৬৪০০৫৬
e-mail: desherkanthaonline@gmail.com,
dainikdesherkanthaadd@gmail.com
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনকে ঘিরে নাটকীয়তা যেন থামছেই না। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের একদিনের মাথায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো প্রার্থীরা এবার পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটি পুনঃতফসিলের (রি-শিডিউল) প্রস্তাব দিয়েছেন। তাদের দাবি, প্রত্যাহার কোনো ভুল সিদ্ধান্ত ছিল না, বরং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতার বিরুদ্ধে এটি ছিল একটি ‘প্রতিবাদ’। দেশের ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থে একটি গ্রহণযোগ্য ও সুন্দর বোর্ড গঠনের জন্য তারা ক্রীড়া উপদেষ্টাকে অভিভাবক হিসেবে হস্তক্ষেপ করে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাবনা তুলে ধরেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো সংগঠক রফিকুল ইসলাম বাবু, ইয়াসির আব্বাসসহ অন্যরা।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘না, আমি এটা বলছি না। আমি বলছি যে এটা একটা প্রতিবাদের, প্রতিবাদ স্বরূপ আমরা এটা করেছি।’ তিনি জানান, এই প্রতিবাদ থেকে উত্তরণের পথও রয়েছে এবং তারা চান পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া নতুন করে সাজানো হোক। বাবুর মতে, যেহেতু নির্বাচনটা যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য থাকে, দেশে-বিদেশে সবাই তাকিয়ে আছে নির্বাচনের দিকে, তাই টাইম বৃদ্ধি করে রি-শিডিউল করা হোক।
বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিলেন তামিম ইকবাল। এই নতুন প্রস্তাবনার সঙ্গে তামিম একমত কিনা, বারবার জানতে চাওয়া হলে রফিকুল ইসলাম বাবু কৌশলী উত্তর দেন। তিনি নির্দিষ্ট করে তামিমের নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘আমি সবার তরফ থেকেই বলছি। সকল সংগঠকদের তরফ থেকে। আমরা আশা করছি, ক্রিকেটের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে সবাই এগিয়ে আসবে। এখানে তামিমও কোনো ইস্যু না, কেউই না।’ তিনি আরও জানান, অনেক ক্লাবের ক্রিকেটাররা ভবিষ্যতের কথা ভেবে তামিমসহ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
তামিমসহ বিসিবির নির্বাচন থেকে সরে গেলেন যে ১৫ জন
সংগঠকদের মতে, বর্তমান নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যোগ্য সংগঠকদের একটি বড় অংশ অনুপস্থিত। ইয়াসির আব্বাস বলেন, ‘বিসিবির নির্বাচনের আগেই, ৬ তারিখে ইলেকশন, তা হওয়ার আগেই ইলেকশনটা একটা প্রশ্নবিদ্ধ চিহ্নের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। এটা দুনিয়ার কাছে উপস্থাপন করা যাবে না।’ তাদের দাবি, একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর বোর্ড গঠনের জন্য সবার অংশগ্রহণ জরুরি। এ কারণেই তারা পুনঃতফসিলের মাধ্যমে নতুন একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চান, যেখানে বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে।
নির্বাচন বর্জন করে তামিমঃ ক্রিকেটে ফিক্সিং বন্ধের আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করুন
তামিম ইকবালের ‘নির্বাচনে ফিক্সিং’ সংক্রান্ত মন্তব্য এবং এরপর উপদেষ্টার কাছেই সমাধান চাওয়ার বিষয়টিকে সাংবাদিকরা ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ হিসেবে আখ্যা দেন। এর জবাবে বাবু বলেন, ‘উপদেষ্টা বা ক্রীড়ামন্ত্রী বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভিভাবক। উনি কোনো পক্ষ না। আমরা চাই এই সমস্যাগুলি উনার মাধ্যমে সমাধান হোক।’ তাদের মতে, দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক হিসেবে চলমান সংকট নিরসনে ক্রীড়া উপদেষ্টাই একমাত্র ভরসা।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৭ই অক্টোবরের পর বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ থাকবে না, এমন তথ্য তুলে ধরে সাংবাদিকরা পুনঃতফসিলের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জবাবে রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘বোর্ডের মেয়াদ শেষ হলেও দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য আরও ১৫ দিন সময় পাওয়া যায়। ইচ্ছা করলে বর্তমান ডিরেক্টরদের দায়িত্বের মেয়াদও বাড়ানো যেতে পারে।’
পরিচালক পদে প্রার্থী চূড়ান্ত, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলেন যারা
সবশেষে, তারা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে তারা কোনো সংঘাত চান না, বরং একটি সম্মানজনক সমাধান চান। ক্রীড়া উপদেষ্টা যখনই তাদের ডাকবেন, তখনই তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছেন, যেন দেশের ক্রিকেটকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে বের করে আনা যায়।
https://desherkantha.com/news/sports/1f09f8eb-35fa-6e50-b58c-cbfa5a81f486