বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
৫৫/এ, এইচ এম সিদ্দিক ম্যানশন, লেভেল-৭ পুরানা পল্টন
ঢাকা-১০০০, ফোন: +৮৮০২২২৬৬৪০০৫৬
e-mail: [email protected],
[email protected]
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
৫৫/এ, এইচ এম সিদ্দিক ম্যানশন, লেভেল-৭ পুরানা পল্টন
ঢাকা-১০০০, ফোন: +৮৮০২২২৬৬৪০০৫৬
e-mail: [email protected],
[email protected]

চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা এ বছরের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত মে মাসে এ নির্দেশনা দেওয়ার পর পাঁচ মাসে তা কমিয়ে ৭৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২১ মে প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম সফরকালে মহানগরীর জলাবদ্ধতা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সবার সম্মিলিত ও আন্তরিকতা প্রচেষ্টায় মহানগরীর জলাবদ্ধতা এরই মধ্যে ৭৫ শতাংশ নিরসন করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি জানান, আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম মহানগর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টাদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে চট্টগ্রামের বিভাগের কমিশনার ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় যে চারটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলোর কাজের অগ্রগতি ৮৮ শতাংশ।
প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম সফরকালে চলতি বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতা সবটুকু নিরসন করা সম্ভব না হলেও অন্তত ৫০ শতাংশ যেন কমিয়ে আনা যায় সে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ কাজ করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড, তারা সক্রিয়ভাবে অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ করেছেন।
৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামসুল আলম জানান, প্রধান উপদেষ্টা ৫০ শতাংশ জলাবদ্ধতা নিরসনের নির্দেশনা দিলেও সবার সম্মিলিত ও আন্তরিকতা প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম মহানগরীর জলবদ্ধতা ৭৫ শতাংশ নিরসন করা সম্ভব হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে আজ যে উপস্থাপনাটি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়, ২০২৩ সালে ১১৩টি স্পটে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা জলাবদ্ধতা ছিল। ২০২৫ সালে এটি কমে ২১টি স্পটে জলাবদ্ধতা দুই থেকে চার ঘণ্টা ছিল। আগামী বছর জলাবদ্ধতা হয় এমন স্পটের সংখ্যা আরও কমে ১০টিতে সীমিত হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
২০২৭ সালে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা পুরোপুরি সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে বৈঠকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
সেখানে জানানো হয়, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা দূরীকরণের প্রধান বাধা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। প্রতিদিন নদীনালা ও খালবিল থেকে ৮০০ টন বর্জ্য জমা হচ্ছে। এ বর্জ্যগুলো অপসারণ করে নদীনালা ও খালবিলের পানি কিভাবে প্রবাহমান রাখা যায় সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা সভায় জানান, মহানগরীতে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ৩ হাজার ২০০ টন বর্জ্য হয়। তাদের যে জনবল রয়েছে তাতে প্রতিদিন ২ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টন বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব। এ ব্যাপারে তারা স্থানীয় জনগণের সহায়তা কামনার পাশাপাশি সরকারি আরও প্রকল্প অর্থ বরাদ্দের চাহিদার কথা জানান।
