বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
৫৫/এ, এইচ এম সিদ্দিক ম্যানশন, লেভেল-৭ পুরানা পল্টন
ঢাকা-১০০০, ফোন: +৮৮০২২২৬৬৪০০৫৬
e-mail: [email protected],
[email protected]
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
৫৫/এ, এইচ এম সিদ্দিক ম্যানশন, লেভেল-৭ পুরানা পল্টন
ঢাকা-১০০০, ফোন: +৮৮০২২২৬৬৪০০৫৬
e-mail: [email protected],
[email protected]
মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা, কিলো ফ্লাইটের বীর বৈমানিক বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তার মৃত্যুতে জাতি হারালো এক অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ও নির্ভীক বৈমানিককে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ঢাকার নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর জানায়, দিনের শুরুতে ঢাকা সেনানিবাসের বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার প্যারেড গ্রাউন্ডে মরহুমের রাষ্ট্রীয় ফিউনারেল প্যারেড এবং নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাশাপাশি, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান মরহুমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে মরহুমের পরিবারের সদস্য, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা, বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন পদবীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
১৯৬৭ সালে ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন আহমেদ কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স অর্জন করেন এবং পরের বছর পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সে বৈমানিক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিল তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ভারতে যান।
পরবর্তীতে ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন আহমেদ ঐতিহাসিক কিলো ফ্লাইটে যোগ দেন এবং যুদ্ধবিমানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ডিসি-৩ বিমান ও অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার পরিচালনা করে নরসিংদী, সিলেট ও মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে সরাসরি আকাশযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব ও সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তাকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা, এক পুত্র এবং অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।