ঢাকা | শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | ৩ কার্তিক ১৪৩১

এডিশনাল এসপি জুয়েল ও রফিকুল ৪ দিনের রিমান্ডে

এডিশনাল এসপি জুয়েল রানা ও রফিকুল ইসলামকে ৪ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গৃহকর্মী লিজা আক্তারকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে রমনা মডেল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জুয়েল রানা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে বালুর ট্রাক রেখে কর্মসূচি পালনে বাধা সৃষ্টি করা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় আরেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গুলশান থানার তৎকালীন ওসি মো. রফিকুল ইসলামকে ৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা চৌধুরী সুমুর আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন রমনা মডেল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জুয়েল রানাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. পায়েল হোসেন। এ সময় আসামির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে আসামির সর্বোচ্চ রিমান্ড চান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত চার দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসাপেক্ষে পুলিশের ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জুয়েল রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর লিজা আক্তারের বাবা মো. জয়নাল শিকদার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই রমনা থানাধীন শান্তিনগরের কানিফার টাওয়ারের ১৪ তালার বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় লিজা আক্তার এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হন। পরে ২২ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

অপর আসামি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গুলশান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার উপপরিদর্শক রায়হানুল ইসলাম সৈকত ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। আপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে আসামির সর্বোচ্চ রিমান্ড চান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত চার দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রফিকুল ইসলাম ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) তাকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে ২০১৩ সালে বালু ও ময়লার ট্রাক দিয়ে অবরুদ্ধ করার ঘটনায় ৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সদস্য মো. শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলাটি করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির পক্ষ থেকে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ডেমোক্রোসি’ কর্মসূচি দেওয়া হয়। কর্মসূচিতে বেগম খালেদা জিয়া যাতে অংশ নিতে না পারেন সেজন্য তার গুলশানের বাসার সামনে বালু ও ময়লার ট্রাক দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নিষিদ্ধ পিপার স্পে করা হয়। এতে বেগম খালেদা জিয়াসহ অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।



Loading...