Walton
ads
D Diamond

পরকীয়ার সন্দেহে স্বামীর দাড়ালো ব্লেডের আঘাতে রক্তাক্ত স্ত্রী

মনছুর আলম(মুরাদ)স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, বিকাল ৭:৩৫

porokiya-dinbodol-bd-2105290723.jpg

তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে আপন খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে পারিবারিক বন্ধেন আবদ্ধ হন ভোলার দৌলত খাঁ উপজেলার মেয়ে মুন্নী বেগম(২৪)।সবকিছু ঠিকটাক চলছিল,বিয়ের এক বছরের মাথায় জন্ম নেই একটি কন্যা সন্তান।

ভোলার দৌলত খাঁ উপজেলারম মধ্যম জয় নগর উপজেলার ছোট দলিল গ্রামের ৬নং ওর্য়াডের বাসিন্দা মিজু হাওলাদারের পুত্র স্বামী মোঃ সোলায়মানের সঙ্গে বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ ৫০হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিলো স্ত্রী খালাতো বোন মুন্নী বেগমের পরিবারের।কিন্তুু পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে যৌতুকের সে টাকা দিতে পারেন নি বাবা হারা মুন্নী বেগমের পরিবার।আর সে যৌতুকের টাকার জন্য শুরু হয় স্বামীর অমানুষিক নির্যাতন।এক পযার্য়ে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে মুন্নী বেগম(২৪) গার্মেন্টস চাকরি করে মেসে থাকতেন।

কিন্তুু সেখানেও স্বামীর হাত থেকে রক্ষা পেল না।গতকাল(২৭মার্চ)বুধবার রাত আনুমানিক এগারোটার দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের আজিমপাড়ায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বিল্ডিংয়ের ভাড়া বাসায় এসে স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দাড়ালো বিলেট দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মুন্নী বেগম কে তারপর নিজের গায়েও ব্লেড দিয়ে জখম করেন মাদকাসক্ত স্বামী সোলাইমান।পরে তাদের চিৎকার চেচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাদের কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

ঘটনার প্রত্যক্ষদশী ও রুমমেট নাসরিন বেগম বলেন,চলতি মাসের ৫ তারিখে মাসিক খোরাকি হিসেবে আমার বাসায় উঠেন মুন্নী বেগম।গতকাল আমি ঘরের বাহিরে গেলে হটাৎ তাঁর মাদকাসক্ত স্বামী সোলাইমান এসে ওকে ব্লেড দিয়ে জখম করে,পরে আমি জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে কর্ণফুলী থানা পুলিশের টিম এসে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী উভয় কে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন।

ভিকটিম মুন্নী বেগমের বড় বোন ফাতেমা বেগম বলেন,গতকাল রাতে বোনের উপর বোন জামাইয়ের নির্যাতনের খবর পেয়ে আজ সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৯নং ওর্য়াডে গিয়ে দেখি সে মেডিকেলের বেডে শুয়ানো। তাঁর শরীরের তিনটি স্থান নাক,গলা ও হাতে গুরুত্বর আঘাত করা হয়েছে।

জমিদার আলী জিন্নাহ বলেন,আমার ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মারামারির খবর শুনেছি।আমি আমার ইনচার্জের মাধ্যমে তাদের কে মেডিকেল নেওয়া থেকে শুরু করে পুলিশ পর্যন্ত সহযোগিতা করেছি।তবে কি কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে সেটা আমি জানি না।

ভিকটিম মুন্নী বেগম(২৪)ডিভাইন গার্মেন্টস এ চাকরি করছেন ১০ মাস নাগাত,তিনি বলেন স্বামী সোলাইমান সবসময় তাকে বিনা উস্কানিতে পরকীয়ার সন্দেহ করে করে মারধর করত।এক পযার্য়ে সে স্বামীর নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাকরি করে অন্যের বাসায় খোরাকি থাকতেন।

এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করেছেন কি না জানতে চাইলে ভিকটিম মুন্নী বেগম বলেন,পুলিশ এসে প্রাথমিক ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন।তবে এখনো মামলা দায়ের করিনি।আমার পরিবার আসলে মামলা দায়ের করবো।

এদিকে স্বামী সোলাইমান চমেক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর সকালে মেডিকেল থেকে অন্যত্র চলে যায়।

bp
আর্কাইভ ক্যালেন্ডার
SMTWTFS