Walton
ads
D Diamond

স্টার্টআপে মাহমুদুল হাসান রিয়নের সফলতা

অনলাইন ডেস্ক

শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩, দুপুর ৩:৩৪

453.JPG

রিয়ন গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম স্টার্টআপ সেরা কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি। এটি বাংলাদেশের নতুন উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান। রিয়ন গ্রুপ ২০১৫ সালে একটি স্টুডেন্ট কনসাল্টেন্সি কোম্পানি হিসাবে কাজ হয়েছিল, যা এখন Reon Tours & Events Ltd নামে পরিচিত। EWVS (ইজি ওয়ে ভিসা সলিউশন) এর প্রথম প্রকল্পটি অত্যন্ত সফল হয়েছে। তারপরে কোম্পানিটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এটি বর্তমানে সারা বাংলাদেশে অবস্থিত ১০ টিরও বেশি প্রধান উদ্বেগের মালিক।

২০১৮-এর প্রথম দিকে আরও উদ্যোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল; এর মধ্যে রয়েছে রিয়েল এস্টেট, পর্যটন, আবাসন, ভূমি উন্নয়ন, স্পোর্টিং ক্লাব, এগ্রো পার্ক, আর্কিটেকচার ডিজাইন, মাল্টিমিডিয়া ও চেইন রেস্টুরেন্ট এবং সর্বশেষ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। রিয়ন গ্রুপের শুরুর যাত্রা টা খুব কঠিন ছিল। মাহমুদুল হাসান রিয়ন এর অক্লান্ত পরিশ্রমে সামনে এগিয়ে নিচ্ছে রিয়ন গ্রুপকে।

মাহমুদুল হাসান রিয়নের সাথে কথা বলে জানা যায় সফলতার পিছনের গল্প। তিনি বলেন, ছোট্ট থেকে স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। কিন্তু সেই স্বপ্ন ধরা দিল ব্যবসার দিকে। শূন্য হাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে ২০১০ সালে ঢাকা আসা হয়। ঢাকায় এসে পড়াশুনার পাশাপাশি ব্যবসা শুরু করেন। যদিও ব্যবসা তার লন্ডন প্রবাসী বড় বাউয়ের। এভাবে চলতে থাকে ২০১৪ পযন্ত। কিন্তু তাতে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি। পরবর্তীতে চিন্তা করেন ২০১৫ সালের নিজের নিজের একটি ব্যবসা করার। সেই জায়গাটিকে ২০১৫ সালে প্রথম ব্যবসা যাত্রা শুরু হয়। পথ চলাটা খুব কঠিন ছিল।

শুরুর দিকে ব্যবসায়ী অনেক বড় লস খেতে হয়। এই কারনে বেশিদিন ব্যবসা কিরতে পারেননি। অনেকদিন থেকে বসে থেকে, আবার নতুন করে শুরু করার পরিকল্পনা শুরু করেন। এই পরিকল্পনা ছিলো অনেক কঠিন। উনি মনে করেছেন ব্যবসা করার আগে নিজেকে তৈরি করা উচিৎ। নিজেকে প্রস্তুত না করে, কখনো ব্যবসায় শুরু করা উচিত নয়। তাই তিনি নিজেকে প্রস্তুত করতে শুরু করলেন। একটা সময় মনে করলেন, যে আমি প্রস্তুত হয়ে গেছি ব্যবসা করার জন্য। তারপর শুরু করেন রিয়ন প্রোপার্টিজ লিমিটেড নামে নতুন কোম্পানি। আবাসন খাতকে বেছে নিলেন প্রথম শুরু হিসাবে।

এখানে মজার ব্যাপার হলো উনি যখন নিজেকে প্রস্তুত করে পুনরায় শুরু করেন, তখন ওনার কাছে মাত্র ২ টাকা ছিল। টাকা চিন্তা না করে নিজের কাজকে মনোযোগী দিলেন বেশি। তারপর সুন্দর একটা ব্যবসায়িক প্ল্যান করে পরিবারের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে ১০ লক্ষ টাকা জোগাড় করলেন। যেটা আবাসন খাতে খুবই হাস্যকর অ্যামাউন্ট। সেই টাকা দিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করলেন।

সুন্দর পরিকল্পনার অনেক ধৈর্য্য নিয়ে ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে আজকে রিয়ন গ্রুপের পথ চলার ৮ বছর। দেশ ও মানুষের উদ্দেশ্যে একটি মেসেজ দিয়েছেন। সবসময়ই দেশ ও জনগণের কথা চিন্তা করে তার প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। পণ্যের গুণগত মান ও সাশ্রয়ী মূল্যে যাতে প্রতিটা ক্রেতার পৌঁছাতে পারে এ লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন।

তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সুন্দর মেসেজ। আগে আপনি ভাবুন আপনি কি হতে চান? একজন ভাল ব্যবসায়ী? না একজন ভালো চাকরিজীবী? যখন নিজে উত্তর খুঁজে পাবেন। তারপর সেইভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেন। যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনি সব বাধা অতিক্রম করার জন্য প্রস্তুত, তারপর ব্যবসা অথবা চাকরিতে নামুন। আত্মবিশ্বাস তৈরি না হলে কখনোই কোন কাজ শুরু প্রয়োজন নাই। কারণ আপনার আত্মবিশ্বাস আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে।