Walton
ads
D Diamond

শিম্পাঞ্জি শাবকদের অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

বিশ্বকণ্ঠ ডেস্ক

সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, রাত ৮:৫২

Top-01.jpg

মানুষকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা হরহামেশা শোনা যায়। তাই বলে শিম্পাঞ্জির তিনটি শাবককে অপহরণ করা, এরপর মালিকের কাছে মুক্তিপণ চাওয়ার খবর শুনলে নিশ্চয়ই অবাক হবেন। অবাক করা এমন কাÐই ঘটেছে আফ্রিকার দেশ কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে। বলা হচ্ছে, শিম্পাঞ্জিকে অপহরণ করার ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে এবারই প্রথম ঘটল।

সিএনএনের সা¤প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের কাতাঙ্গা অভয়ারণ্যে। চলতি বছরের শুরুতে উদ্ধার করা পাঁচটি শিম্পাঞ্জির শাবক রয়েছে সেখানে। ৯ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে তিনটি শাবককে অপহরণ করা হয়।

অভয়ারণ্যটির প্রতিষ্ঠাতা ফ্রাঙ্ক চানতেরিউ জানান, অপহরণকারীরা নিরাপত্তাবেষ্টনী ডিঙিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে তিনটি শাবককে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাঁরা গিয়ে অপর দুটি শাবককে সেখানকার রান্নাঘরে লুকিয়ে থাকতে দেখেন। অপহরণের শিকার তিনটি শাবকের নাম সিজার, হুসেইন ও মোঙ্গা।

ফ্রাঙ্ক আরও জানান, অপহরণকারীরা তাঁর স্ত্রীকে তিনটি বার্তা ও অপহরণের শিকার তিন শাবকের একটি ভিডিও পাঠিয়েছে। অপহরণকারীরা বলেছে, মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা বিপুল পরিমাণ অর্থ পরিশোধ না করলে তারা তিন শিম্পাঞ্জি শাবকের ক্ষতি করবে। তবে কী পরিমাণ অর্থ মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে, তা জানাননি ফ্রাঙ্ক।

সংবাদমাধ্যমকে ফ্রাঙ্ক বলেন, ‘কেউ শিম্পাঞ্জির শাবকদের অপহরণ করে মুক্তিপণ চাইবেন, এটা ভাবতেও পারিনি। বিশ্বে এটাই হয়তো শিম্পাঞ্জি অপহরণের প্রথম ঘটনা।’

তবে অপহরণকারীদের পরিকল্পনায় শিম্পাঞ্জির শাবকদের তুলে নিয়ে যাওয়া ছিল না। ফ্রাঙ্ক বলেন, ‘আমার সন্তানেরা ছুটিতে বাড়ি আসতে চেয়েছিল। অপহরণকারীরা তাদেরই অপহরণের জন্য এসেছিল। তবে আমার সন্তানেরা শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফেরেনি। তাই অপহরণকারীরা সেখান থেকে শিম্পাঞ্জির তিনটি শাবককে তুলে নিয়ে যায়।’ অপহরণকারীরা ফ্রাঙ্কের স্ত্রীকে এমনটাই বলেছে।

অপহরণকারীদের মুক্তিপণ পরিশোধ করে শাবক তিনটিকে ছাড়িয়ে আনা হবে কি না। এমন প্রশ্নের জবাবে ফ্রাঙ্ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে চিন্তায় পড়েছি। কেননা বিপুল পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করার পরও তারা শাবক তিনটিকে ছেড়ে দেবে কিংবা ক্ষতি করবে না, এর নিশ্চয়তা নেই। এ ছাড়া আমরা মুক্তিপণ পরিশোধ করলে অন্যান্য জায়গায়ও একই ধরনের ঘটনা ঘটতে শুরু করবে। তাই আমরা এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।’