Walton
ads
D Diamond

দু-একদিনের মধ্যে কমবে তেলের দাম: বাণিজ্যসচিব

অনলাইন ডেস্ক

রবিবার, ২৬ জুন ২০২২, দুপুর ১:৩৮

1656223530.289477386_1057581531589582_.jpg

আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমায় আগামী দু-একদিনের মধ্যে দেশেও সেটি কমে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।

রোববার (২৬ জুন) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বাদশ মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্যসচিব বলেন, তেলের দামের ক্ষেত্রে আগামী দু-একদিনের মধ্যে একটা সুখবর আসতে পারে। আশা করছি, তেলের দাম কমবে। এখন সেই হিসাব-নিকাশ করা হচ্ছে। ট্যারিফ কমিশন তেল রিফাইনারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করে আমাদের জানালে তারপর আমরা জানাতে পারবো কত টাকা কমবে। তবে বলা যায় তেলের দাম কমবে।  

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের বেশি হয়েছে। সেক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ করে তেলের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে, আমাদের দেশেও কী পণ্যটির দাম কমানোর কোনো খবর দেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, তেলের দামের ক্ষেত্রে আমরা এখন হিসাব-নিকাশ করছি। তার একটা প্রতিফলন আগামী দু-একদিনের মধ্যে দেখা যাবে। তেলের দাম কমে আসার সম্ভাবনা আছে। তেলের দাম কমে আসবে বলা যায়। তবে কতটা কমবে সেটার হিসাব-নিকাশ চলছে।  

তিনি বলেন, ট্যারিফ কমিশন প্রাথমিকভাবে তথ্য নিয়ে মিল মালিক বা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পর মন্ত্রীকে জানিয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়। এটা গোপনীয়তার কিছু নেই বা আমরা ঘটা করে জানাইও না। মন্ত্রী যখন সংবাদ সম্মেলন করে জানান তখন এটা আপনাদের জানানো হয়।  

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম কমে গেছে। এ তেলটা আমাদের আসে প্যারাগুয়ে, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে। সেখান থেকে তেল আসতে কমপক্ষে ৪৫ থেকে ৬০ দিন লেগে যায়। এখানে যে সময়ের গ্যাপ রয়েছে তাই চাইলেও দেশের বাজারে তাৎক্ষণিক দাম কমানো যায় না। এ সময়ের গ্যাপটা চিন্তা করতে হয়। তবে সুখবর হলো ইন্দোনেশিয়া থেকে এখন কিছু তেল আসে, সেখান থেকেও আসতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে, আবার ডলারের দামও বেড়েছে সেটাও মাথায় রাখতে হবে। এ দুটি বিষয় সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করা হবে।

তিনি বলেন, তেলের দাম কমলেও সবাই জানবেন, বাড়লেও সবাই জানবেন। সরকারিভাবে আমরা যে ফর্মুলা ব্যবহার করি কমার সময় যেটা, বাড়ার সময় যেটা। যে বিষয়টা বাড়ার সময় হয়েছে সেটা হলো সরকার বাড়ানোর আগেই খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয় অনেক সময়। সেজন্যই ভোক্তা অধিকার, জেলা প্রশাসক কাজ করে। লাখ লাখ বিক্রেতা কোথায় দাম বেশি নিয়ে থাকেন সেটা তারা দেখেন।  

তেলের দাম বাড়ানোর সময় ব্যবসায়ীদের যে তোড়জোড় দেখা যায় কমানোর সময় সে তোড়জোড় দেখা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যসচিব বলেন, আমরা আপনাদের ডাকতে পারি যেকোনো সময়। এখন মন্ত্রী অসুস্থ রয়েছে। তেলের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে যেন কমে সেটা আমরা দেখবো। ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে একটা দাম্ভিক সম্পর্ক রয়েছে। বিক্রেতা সব সময় বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করতে চায় আর ক্রেতা কম দামে কিনতে চায়। এ বিষয়টার জন্য এ ধরনের আচরণ দেখা যায়। সেজন্যই সরকার হস্তক্ষেপ করে। যেকোনো পণ্যের যোগান ও সরবরাহ দিয়ে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ হয় এটাই স্বাভাবিক নিয়ম।