Walton
ads
D Diamond

পদ্মাপাড়ে উৎসবের আমেজ, আত্মীয় বাড়িতেও আসছে মানুষ

মাদারীপুর সংবাদদাতা

বুধবার, ২২ জুন ২০২২, রাত ৯:০০

Sukhobor protidin.jpg

আগামী শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং দলীয়ভাবে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। মাদারীপুরের শিবচর সেজেছে বর্ণিল সাজে। ঐতিহাসিক এই দিনের সাক্ষী হতে এই জেলায় যাদের আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন তারাও আসতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

এ দিকে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে জনসমাবেশ স্থলে তৈরি করা হচ্ছে বিশাল মঞ্চ। পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি এই মঞ্চ থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন। আয়োজকরা জানিয়েছেন ১০ লাখ লোকের সমাবেশ হতে যাচ্ছে এটি। আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে চারপাশ। ছয় দিনব্যাপী হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। থাকছে গান, নাটক, লেজার শোসহ নানা ধরনের আয়োজন। এই আয়োজন ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে মাদারীপুর তথা পদ্মাপাড়ের জেলাগুলোতে।

গতকাল বুধবার সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী জনসভা ঘিরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পাচ্চর ও পৌর বাজারের আবাসিক হোটেলগুলোর কোনো কক্ষ খালি নেই। ২০ জুন থেকে আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলগুলোর সিট বুকড করে রাখা হয়েছে জানিয়েছে হোটেল মালিক সমিতি। ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে অন্যত্র রাত কাটানোর ব্যবস্থা করছেন।

এ দিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার সংবাদ সংগ্রহে ঢাকা থেকে যেসব সাংবাদিক শিবচর আসবেন, তাদের থাকার জায়গার সংকটও দেখা দিয়েছে। ঢাকা থেকে আগত কয়েকজন সাংবাদিক ইতোমধ্যেই শিবচরে থাকার জায়গার সংকটে পড়েছেন বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে হোটেল আল-মকিমের ব্যবস্থাপক মো. রাসেল বলেন, ‘আমাদের হোটেলের সব রুম বুকড। ২৫ তারিখ পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে রুমগুলো বুকড করা হয়েছে। জানা মতে শহরের অন্য হোটেলগুলোরও একই অবস্থা। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কিছুটা কষ্ট মেনে নিতে হবে।’

শিবচরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসছেন। তারা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনসহ বর্ণিল আয়োজন উপভোগ করতে চান। তারা সাক্ষী থাকতে চান এই ইতিহাসের। তেমনই একজন সেতারা বেগম। তিনি খুলনা থেকে এসেছেন। সেতারা বেগম বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের স্বপ্নের সেতু। একসময় পদ্মা পাড় হতে আমাদের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। আশাকরি, এখন আর দুর্ভোগ থাকবে না। তাই এই ক্ষণটি স্মরণীয় করে রাখতে চলে এসেছি। শুনছি ৬ দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠান উপভোগ করতে চাই।’

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। বর্ণিল সাজে সেজেছে মাদারীপুর। আমরা চাই দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকুক।

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে এই উৎসবের আমেজে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। জনসভাকে ঘিরে ১০ লাখ লোক সমাগম হবে। জনসভার আগে থেকেই মাদারীপুর তথা পুরো দক্ষিণাঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ।