Walton
ads
D Diamond

অবকাঠামোগত সংকটে অনুমোদনের ৫ বছরেও বিভাগ চালু করেনি কুবি

কুবি থেকে তোফাজ্জল হোসেন

মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২, বিকাল ৭:৫৬

image0 (2).jpeg

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৯টি বিভাগ চালু রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে আইন বিভাগ এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অনুমোদন দেয় প্রশাসন। তবে গেল ৭ বছরে দু’টি বিভাগের অনুমোদন পেলেও অবকাঠামোগত সংকট দেখিয়ে সেটি চালু করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিভিন্ন তথ্যমতে, বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে মানব সম্পদ ব্যাবস্থাপনা বিভাগ চালুর অনুমোদন এসেছে ২০১৭ সালে। অনুমোদনের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলে অনুমোদনকৃত বিভাগগুলো চালু হয়নি। তবে এর জন্য ভৌত অবকাঠামোর সংকটকে করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিষ্ট্রার মুজিবুর রহমান মজুমদার।

তিনি বলেন, ইউজিসি আমাদের দু’টি বিভাগ খোলার অনুমোদন দিয়েছিলো। সে কারণে আমরা দু’টি বিভাগ খোলার ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম। তবে আমাদের ভৌত অবকাঠামোগত অসুবিধার কারণে তখন আর খোলা হয়নি।

এদিকে বিভাগ খোলার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হয়। এজন্য প্রয়োজন নতুন নতুন বিভাগের। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র সেখানে ভিন্ন। নতুন বিভাগ নেই ৭ বছর যাবত। এদিকে ৫ বছর ধরে অনুমোদন নিয়ে থাকলেও খুলছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি বিভাগ। অথচ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন ছাড়াই বিভাগ খোলার প্রতিযোগিতায় নেমে যায়।

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রবি চন্দ্র দাস বলেন, ভৌত অবকাঠামোর সংকট দেখিয়ে আমাদের ফ্যাকাল্টিতে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগটি চালু না করার কোন কারণ দেখিনি। বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতায় বিষয়টির গুরুত্ব অনেক। প্রতিষ্ঠানের জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী সংগ্রহ, অদক্ষ ও অনভিজ্ঞ কর্মীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে থাকে। ফলে অতি সহজেই তাদের দ্বারা দেশের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়।

বিভাগ খোলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, আপাতত আমাদের এখানে বিভাগ চালুর পরিকল্পনা নেই। ২০১৭ সালে যে অনুমোদন পেয়েছিলাম তা অবকাঠামোগত সংকটের কারণে চালু করা সম্ভব হয়নি। যে বিভাগগুলো খোলা আছে তাদের শিক্ষকদেরই যথেষ্ট স্পেস দেয়ার জায়গা পাচ্ছি না।

তবে এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম আব্দুল মঈন বলেন, গত ৫ বছরে ঠিক কি কারণে খোলা হয়নি আমি জানি না। তবে আগামী শিক্ষাবর্ষেও খোলার সম্ভাবনা নেই। কারণ এখন পর্যন্ত যেসকল বিভাগ খোলা আছে তাদেরই জায়গা দিতে পারতেছি না।