Walton
ads
D Diamond

টানা ১০৬টি ম্যারাথনে তাঁরা

বিশ্বকণ্ঠ ডেস্ক

বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২, রাত ৯:০৬

Top-01.jpg

প্রতিদিন একসঙ্গে দৌড়াতে চেয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের দুই নারী। এ ইচ্ছা পূরণ হয়েছে তাঁদের। টানা ১০৬ দিনে দুজনে ১০৬টি ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ার দাবি করেছেন। যদিও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি এখনো পাননি।

ফে কানিংহাম ও এমা পেট্রিকের বসবাস স্কটল্যান্ডের এবারডিন শহরে। তাঁদের নিয়ে গত মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল (ইউপিআই)। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফে কানিংহামের বয়স ৩৫ বছর। এমা পেট্রিকের ২৬ বছর।

শখ পূরণে একসঙ্গে দৌড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন ফে কানিংহাম-এমা পেট্রিক। ভাবনায় আসে ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার। চলতি বছরের ১৯ ফেব্রæয়ারি তাঁরা প্রথমবারের মতো একসঙ্গে ম্যারাথনে দৌড়ান। সেই শুরু, এরপর আর থামেননি। পরবর্তী ১০৬ দিনে দুই নারী একসঙ্গে ১০৬টি ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউপিআই। এ সময় প্রতিদিন তাঁরা নির্দিষ্ট দূরত্ব (২৬ দশমিক ২ মাইল) দৌড়েছেন।

গত শনিবার নিজেদের ১০৬তম ম্যারাথন সফলভাবে শেষ করেছেন ফে কানিংহাম ও এমা পেট্রিক। পার করেছেন ওই দিনের ২৬ দশমিক ২ মাইলের দূরত্ব। তাঁদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে টানা ১০৬ দিনে ১০৬টি ম্যারাথনে দৌড়ানোর অনন্য রেকর্ড গড়েছেন তাঁরা। এখন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে এ জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করবেন তাঁরা। স্বীকৃতি পেলে গিনেসের রেকর্ড বইয়ে নাম উঠবে তাঁদের।

বর্তমানে টানা ম্যারাথনে দৌড়ানোর বিশ্ব রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রের নারী অ্যালেসা ক্লার্কের দখলে। ২০২০ সালে তিনি টানা ৯৫ দিনে ৯৫টি ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে চলতি বছরের শুরুতে জ্যাকি হান্ট–ব্রোয়ের্সমা নামের এক ব্যক্তি ১০২ দিনে ১০২টি ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন। তাঁকে এখনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি গিনেস কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যেই ফে কানিংহাম ও এমা পেট্রিকের অর্জনের খবর জানা গেল।

শুধু শখ পূরণে সীমাবদ্ধ থাকেনি ফে কানিংহাম ও এমা পেট্রিকের দৌড়। ১০৬টি ম্যারাথনে অংশ নিয়ে একটি তহবিল গড়েছেন তাঁরা। এই তহবিলের অর্থ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। ফে কানিংহামের বাবা অ্যালান ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। পরে তিনি মারা যান। তাঁর স্মরণে ফে কানিংহাম ও এমা পেট্রিক ম্যারাথনে দৌড়ে তহবিল সংগ্রহের কাজ করেছেন।

ফে কানিংহাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা দুজনে এটা খুব ভালো করে জানি যে জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত। এ ছাড়া হাঁটা কিংবা দৌড়ানোর সক্ষমতা সব সময় থাকবে না। আমার বাবা বেঁচে থাকতেই আমাদের দুজনকে ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উৎসাহ জুগিয়েছেন।’