মাল্টা চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখেন জাকির

ভোলায় মাল্টা চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন জাকির। কৃষি জমির পাশাপাশি অনাবাদী জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করে দিন বদলের সংগ্রাম করছেন অনেকেই। অন্যান্য ফসলের চাইতে কম সময় ও স্বল্প পরিশ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন মাল্টা চাষের দিকে ঝুঁকছেন এই অঞ্চলের মানুষ।

এক ফসলি জমির অঞ্চল বলা হলে ও সেই অপবাদ এখন অনেকটাই ভ্রম বলে প্রমাণ করেছেন ভোলার অনেকেই। এক ফসলি (ধানী) জমির পাশে কিছুটা উচুঁ ও পতিত জমিতে মাল্টা চাষ করে সাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এ অঞ্চলের মানুষ। কেউ কেউ মাছের খামার ও অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ হিসেবে বেছে নিচ্ছে মাল্টা চাষ। এতে করে বেকার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

তবে কৃষি বিভাগের সহায়তা পেলে ভোলায় মাল্টা চাষে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে জানান মাল্টা চাষি জাকির ও মনির মাষ্টার।

এদিকে, মাল্টা চাষে আশাবাদী হলেও এ ফল চাষে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় কৃষি অফিসের সহায়তা চান চাষীরা। মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ ও সরকারি সহায়তার দাবি করেন তারা।

জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. হাসান বলেন, অনুকূল আবহাওয়া আর রোগ বালাই না হলে খরচ পুষিয়ে দ্বিগুন লাভবান হওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ভোলায় ১২শ হেক্টর জমিতে মাল্টা আবাদ করা হয়। ভোলা সদর উপজেলায় প্রায় ১০০টি মাল্টা বাগান করা হয়েছে। এ বছরে ২০-২৫টি বাগান থেকে মাল্টা বিক্রি করা হবে। ভোলার মাটি ও আবহাওয়া মাল্টা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। দেশের পুষ্টির চাহিদা পূরণে মাল্টা চার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি কৃর্ষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাল্টা চাষিদের সার্বক্ষণিক সাহায্য সহায়তা করা হবে।