Walton
ads
D Diamond

ফেরী করে তরমুজ বিক্রি

মেহেরপুর থেকে নুহু বাঙ্গালী

রবিবার, ২৯ মে ২০২২, বিকাল ৫:৫৯

Screenshot_20220529-172230~2.png

মেহেরপুরে মাইকিং করে গ্রামে গ্রামে গিয়ে তরমুজের বিক্রি করছেন মেহেরপুরের তরমুজ ব্যসায়ী শরিফুল ইসলাম।

তিনি ১০ বছর যাবত তরমুজ বিক্রির ব্যবসা করেন। বাজারে কোন ক্রেতা না থাকায় গ্রামে গ্রামে ফেরী করে তরমুজ বিক্রি করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শুধু শরিফুল নয়, তার মতো অনেকেই গ্রামে মাইকিং করে তরমুজ বিক্রি করছেন।

তরমুজ ব্যবসায়ী শরিফুল জানান, বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হলেও বর্তমানে ৫ কেজি ওজনের তরমুজ ৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা কম দাম হাকলেও বাজারে তরমুজের ক্রেতা নেই। যারা দূর দূরান্ত থেকে তরমুজ কিনে হাটবাজারে তুলেছেন তাদের গাড়ি ভাড়াটাও উঠছেনা। দেশের বিভিন্ন জেলায় নানা কান্ড ঘটানো তরমুজ এখন চাহিদাশুন্য।

বাজারে আম, জাম ও লিচু বিক্রি হওয়ায় তরমুজের ওপর থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়েছে ক্রেতারা। তরমুজ নিয়ে ব্যবসায়ীদের ছুটতে হচ্ছে গ্রামে গ্রামে। শহরের ওলিগলিতে ক্রেতা ডাকতে হচ্ছে মাইকিং করে।

তরমুজ ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম জানান, আগের চেয়ে এখনকার তরমুজের অনেক স্বাদ বেশি। ৫/৬ কেজি ওজনের তরমুজ ৭০/৮০ টাকা। তবুও ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে চলে যায়। আগে দাম বেশি থাকলেও প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার পিচ তরমুজ বিক্রি করতেন। এখন সারাদিন গ্রামে গ্রামে ঘুরে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০পিচ তরমুজ বিক্রি করা যায়। এতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা লাভ হয়। এই লাভ থেকে আবার ভ্যান ভাড়া দিতে হচ্ছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ সামসুল আলম জানান, মেহেরপুর জেলায় বেশ কয়েক বছর তরমুজের আবাদ তেমন হচ্ছেনা। শুধুমাত্র গাংনী উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে তৃপ্তি, গোল্ডেন, ব্ল্যাকবেবি, প্রতিমা ও বাংলালিংক নামের বেশ কয়েকটি জাত বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছে। জেলার কৃষকরা এসকল জাত আবাদ শুরু করেছেন।

গেল বছর অনেকেই লাভবান হয়েছেন। অন্যান্য জেলা থেকে তরমুজ আনেন ব্যবসায়ীরা। তবে আবহাওয়া ও জমির উর্বরতার বিষয়টি লক্ষ করে তরমুজের আবাদ করতে কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।