নেত্রকোণার পূর্বধলায় মাঠের পর মাঠ বোরো ক্ষেত নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। দূর থেকে দেখলে মনে হতে পারে ধান পেকে কাটার সময় হয়েছে। কিন্তু তা নয়, ছত্রাক আর মাজরা পোকার ব্যাপক আক্রমণে বোরো ক্ষেতের এ অবস্থা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ২১ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৯৩ হাজার ১৮৭ মে. টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এই রোগটি বিশেষ করে ব্রি-২৮ জাতের ধানে বেশি আক্রমণ করছে। তারপরও বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধু ব্রি ধান-২৮ চাষ করা হয়েছে ২৩ শতাংশ জমিতে।
বাড়হা গ্রামের কৃষক কালাচাঁন ফকির বলেন, বিআর-২৮ জাতের ধান চাষ করেছি এক একর জমিতে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে নেক ব্লাস্ট রোগে নষ্ট হয়ে গেছে ধান ক্ষেত। তাছাড়া বাকি ধান ক্ষেত নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তা।
আগিয়া ইউনিয়নের কৃষক মামুন মিয়া বলেন, আমার দুই বিঘা জমির মধ্যে গত এক সপ্তাহে নেক ব্লস্টারের জন্য নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় অর্ধেক জমির বোরো ধান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নেক ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে ১১টি ইউনিয়নের ৩৩টি ব্লকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। নিয়মিত চাষিদের ছত্রাক জাতীয় ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। নিয়মিত মাঠ পরিদর্শনসহ কৃষকদের লিফলেট বিতরণ কর হচ্ছে। এসব জমিতে ইউরিয়া সার পরিমাণের চেয়ে বেশি প্রয়োগ করার কারণে এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া কৃষকদের ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ এর পরিবর্তে ব্রি-৮৮ ও ব্রি-৮৯ জাতের ধান আবাদের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। এ জাতের ধানে নেক ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে।