Walton
ads
D Diamond

গুরুদাসপুরে আম-লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

নাটোর প্রতিনিধি

শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২, দুপুর ১:৫২

esdfjgsdfsd.jpg

আম কুড়ানোর সময় এখনও আসেনি। তবে বাগানগুলোতে মুকুলের ঘ্রাণ শেষে ধরতে শুরু করেছে আম আর লিচুর গুটি। ফাল্গুন শেষে চৈত্র মাসে থোকায় থোকায় দুলছে আম আর লিচুর গুটি।

গাছের কচি ডগা ভেদ করে সবুজ পাতার ফাঁকে সবুজ রঙের ছোট বড় গুটিগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন বাগান, বাড়ির আশপাশের সর্বত্র আম ও লিচু গাছ তার সবুজ ফল নিয়ে সেজেছে এক অপরুপ সাজে। কয়েক দিনের মধ্যে আম লিচুর ছোট গুটিগুলো পরিণত হবে পরিপূর্ণ দানায়। সেই সোনালি স্বপ্ন বুকে নিয়েই বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন গুরুদসপুরের আম ও লিচু বাগান চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর শুধু মাত্র গুরুদাসপুরেই ৪১০ হেক্টর জমিতে লিচু এবং ১৯২ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ আম-লিচুর বাগানেই গুটিগুলো পরিপূর্ণ দানায় রুপান্তরিত হতে যাচ্ছে। বাগান মালিক, কৃষিবিদ, চাষিরা আশা করেছেন বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আম-লিচুর বাম্পার ফলন হবে।

উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের লিচুর বাগান মালিক মো. সাখাওয়াত আলী মোল্লা বলেন, বাগান ও বাড়ির আঙ্গিণার গাছগুলোতেও এবার পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন ২০ জনের মতো শ্রমিক। আমার লিচু ও আমসহ ছোট বড় প্রায় ১৫টি বাগান রয়েছে। গাছের মুকুল থেকে শুরু করে নতুন গুটির যেন কোন প্রকার সমস্যা না হয় সে জন্য সার্বক্ষণিক ১০-১৫ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন।

বাগান মালিকরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে আম ও লিচুর ভালো ফলন হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ বলেন, আম-লিচু চাষে কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। গাছে মুকুল আসার আগে এবং গুটি হবার পর নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও জৈব বালাইনাশক ও ফেলোমন ফাঁদ ব্যবহার করে আম-লিচুসহ অন্যান্য ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

bp
আর্কাইভ ক্যালেন্ডার
SMTWTFS